জনগণের ‘কাছে যেতে’ সরকারের ২৫ অ্যাপ

এসব অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন আইন সম্পর্কে যেমন জানা যাবে, তেমনি পাওয়া যাবে পাবলিক লাইব্রেরি, হাসপাতাল কিংবা চিড়িয়াখানার তথ্য, কৃষি পরামর্শ; পড়া যাবে সঞ্চিতাও।বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) অডিটরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব অ্যাপের উদ্বোধন করেন।বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তরের নির্বাচিত সেবা নিয়ে ১০০টি মোবাইল অ্যাপ হবে, যার মধ্যে ২৫টির প্রথম সংস্করণ উদ্বোধন করা হলো।

এসব অ্যাপ বুধবার থেকেই গুগল প্লে স্টোর এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

 

 

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, “জনগণের দুয়ারে সরকারি সেবা সহজে পৌঁছে দিতে আগামীতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে। আজ ২৫টি নতুন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের এই উদ্বোধন জনগণের আরো কাছে যাওয়ার প্রচেষ্টারই অংশ।”তিনি জানান, আপাতত এসব অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সেবার বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যাবে। পরে অ্যাপের মাধ্যমেই আরো সেবা দেয়ার সুযোগ অব্যাহত থাকবে।“থ্রিজি মোবাইল সেবা চালুর ফলে এখন তরুণ প্রজন্মের হাতে হাতে স্মার্টফোন। স্মার্টফোনের কার্যকর ব্যবহারের জন্য প্রচুর স্থানীয় মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন প্রয়োজন।”বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এ কাজে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জরুরি সেবাগুলো সরকার ধীরে ধীরে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে নিয়ে আসবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।তিনি বলেন, “সেবা দিতে সরকার আরো বেশি আন্তরিক হতে চায়। শুধু সরকারি সেবা নয়, আগামীতে শিল্প, সাহিত্য, সুস্থ বিনোদনের জন্য আরও অ্যাপ তৈরি করা হবে।”

অনুষ্ঠানে উন্মোচন হওয়া অ্যাপগুলো হলো- তথ্য অধিকার আইন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিএইচবিএফসি লোন ক্যালকুলেটর, নজরুল গীতি, সঞ্চিতা, ঢাকা চিড়িয়াখানা, সরকারি সেবা, বিটিআরসি, কপি রাইট আইন, আর্কিওলজি অব বাংলাদেশ, পাবলিক লাইব্রেরি, টেক্সটাইল ক্যালকুলেটর, প্রাইজ বন্ড, ই-জয়িতা, এফডিসি, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, অফিসের ব্যায়াম, ’৭২ এর সংবিধান, নদ-নদীর তথ্য, হাসপাতাল ফাইন্ডার, মাদকদ্রব্য ও কিশোর অপরাধ, ইমিউনাইজেশন অ্যালার্ট, ইনসেক্ট কন্ট্রোল অব ক্রপ, রুফ গার্ডেনিং ও ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ।

 

 

অন্যদের মধ্যে প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ ফারুক, বেসিসের জ্যেষ্ঠ সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি আবু হানিফ মো. মাহফুজুল আরিফ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদারের সভাপতিত্বে ‘জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচির’ পরিচালক মিনা মাসুদ উজ্জামান, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান এমসিসি লিমিটেডের সিইও আশরাফ আবির, ইএটিএল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুবিন খানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং তথ্য-প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।